বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই, ২০১৪

নাগেশ্বরীতে নব দম্পতির সংবাদ সম্মেলন



নাগেশ্বরীতে নব দম্পতির সংবাদ সম্মেলন
নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম), ১০ জুলাই, এবিনিউজ : নাগেশ্বরীতে হয়রানি এড়াতে সংবাদ সম্মেলন করেছে নব দম্পত্তি। আজ বৃহস্পতিবার সকালে পুরাতন বাজার গোলাবাড়ী এলাকায় তাদের নিজ বাড়ীতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নববধু দোলা দত্ত। এ সময় উপস্থিত ছিলেন তার স্বামী বলাই চন্দ্র সাহা ও পরিবারের অন্যন্য সদস্যরা। তার বক্তব্যে বলেন, তিনি টাংগাইলের কাগমারী পোদ্দার পাড়া গ্রামের পরিমল দত্তের মেয়ে। নাগেশ্বরী গোলাবাড়ীর বৈদ্যনাথ সাহার ছেলে বলাই চন্দ্রের সাথে ভালবাসা পরিবার মেনে না নেয়ায় বাড়ী থেকে পালিয়ে তিনি স্বেচ্ছায় বলাইয়ের সাথে গত ২৯ জুন নোটারি পাবলিকের কার্যালয় কুড়িগ্রামে ও একই দিনে ভূরুঙ্গামারীতে রেজিষ্ট্রার কাঞ্চনের মাধ্যমে হিন্দু বিবাহ নিবন্ধন করান। তারা দু‘জন পুর্ন বয়স্ক। দুজনে জাগতিক ও ধর্মীয় অনুশাসন মেনে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে সারাটা জীবন কাটাতে চান। তাদের এ বিয়ে মেনে নিয়ে আশীর্বাদ করতে পরিবারের প্রতি অনুরোধ জানান।

জমির লোভ দেখিয়ে ধর্ষণ ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা

৬ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের ১২ দিন পরেও মাতবরদের হস্তক্ষেপে মামলা করতে পারেনি ধর্ষিতার পরিবার। একটি প্রভাবশালী মহল ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ধর্ষিতার পরিবারকে ৫ শতক জমির লোভ দেখিয়ে মামলা করা থেকে বিরত রেখেছে। ঘটনাটি ঘটেছে,  ভুরুঙ্গামারী উপজেলার শিলখুড়ি ইউনিয়নে।
ধর্ষিতার পারিবারিক সুত্র জানায়, শিলখুড়ি ইউনিয়নের আবুবকর সিদ্দিকের ৬ বছরের শিশু কন্যাকে প্রতিবেশী সাইকেল মেকার আলমগীর হোসেন (১৮) গত ২৭ জুন দুপুরে চকলেটের লোভ দেখিয়ে পার্শ্ববর্তী বাঁশ ঝাড়ের ভিতর নিয়ে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে। স্থানীয় লোকজন রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে আইনী ব্যবস্থা গ্রহনের চেষ্টা করলে প্রভাবশালী কতিপয় মাতব্ব্র ঘটনাটি মীমাংসার জন্য পরিবারটির উপর চাপ সৃষ্টি করে। কিন্ত শিশুটির অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় পরের দিন তাকে ভুরুঙ্গামারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঐদিনই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ধর্ষিতা শিশুটিকে কুড়িগ্রাম হাসপাতালে প্রেরণ করে।
এদিকে, স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি চান মিস্ত্রি, সহসভাপতি মজিবর রহমান, বিএনপির হযরত আলী, জামায়াতের আবুল হোসেন, ওমেদ আলী ও আব্দুর রাজ্জাক মিলে হযরত আলীর বাড়ির বৈঠকে ১৬ শতক জমির বিনিময়ে ঘটনাটি আপোষ করার সিদ্ধান্ত হয়। এভাবে কালৎক্ষেপন করে পরবর্তীতে আরেক দফা বৈঠকে জমির পরিমান কমিয়ে ৫ শতক করা হয় এবং আপোষ নামায় তাৎক্ষনিক স্বাক্ষর গ্রহন করে। এরপর মাতব্বররা তাদের ভূমিকা পরিবর্তন করায় ঘটনার ১২ দিন পরেও ধর্ষিতাকে জমি রেজিষ্ট্রি করে দেয়নি। ভুরুঙ্গামারী থানা পুলিশ গোপন সুত্রে খবর পেয়ে, গতকাল বৃহস্পতিবার ধর্ষক আলমগীর হোসেনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। ধর্ষিতা শিশুটি বর্তমানে ভয়ে মামার বাড়িতে অবস্থান করছে।
ভুরুঙ্গামারী হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ আবু সায়েম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, শিশুটি আসার পর আমরা এন্ট্রি করে রির্পোটের জন্য কুড়িগ্রাম হাসপাতালে পাঠিয়েছি। ওসি হাসান ইনাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা ধর্ষককে গ্রেফতার করেছি কিন্তু মাতব্বরদের ভয়ে ধর্ষিতার পরিবার এখন পর্যন্ত মামলা দায়ের করেনি।

শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১১

জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের কমিটি গঠিত

ভুরুঙ্গামারীতে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের উপজেলা কমিটি গঠিত হয়েছে। শুক্রবার এ উপলক্ষে উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে বিকেল ৩ টায় মুক্তিযোদ্ধা সাবেক উপজেলা কমান্ডার আব্দুল মজিদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান ও বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন যথাক্রমে জেলা জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের আহ্বায়ক আবদুল বারী, যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুজ্জামান, উপজেলা বিএনপির সভাপতি কাজি গোলাম মোস্তফা ও সম্পাদক শাহীন শিকদার।
আলোচনা শেষে সর্ব সম্মতিক্রমে আব্দুল মজিদ কে সভাপতি, তসলিম উদ্দিনকে সম্পাদক ও জহুরুল হক মোল্লাকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট উপজেলা কমিটি গঠন করা হয়।

মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১১

খাজনা বন্ধ প্রায় ইউনিয়ন ভুমি অফিসে

সদর ইউনিয়ন ভুমি অফিসে দাখিলা বই সংকটে ভুমির মালিকরা নিয়মিত খাজনা দিতে পারছে না । জানাগেছে, ভুরুঙ্গামারী উপজেলার সদর ইউনিয়ন ভুমি অফিসে দীর্ঘদিন থেকে জমির খাজনা পরিশোধের দাখিলা বই না থাকায় দুরদুরান্ত হতে আসা ভুমির মালিকরা  খাজনা দিতে  না পারায়  ভুমির মালিক ও ব্যবসায়ীরা  ঋণ সুবিধা হতে বঞ্চিত হচ্ছে।
জনৈক ব্যবসায়ী এমদাদুল হক মন্ডল জানান, সে খাজনা দিতে না পারায় হয়রানীসহ ঋণ গ্রহণ করতে পারছে না।
এ ব্যাপারে সদর ইউনিয়নে কর্মরত তহশীলদার মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, ১০ দিন পুবে উপজেলা ভুমি অফিসে দাখিলা বইয়ের জন্য আবেদন করা হয়েছে। উপজেলা ভুমি অফিস হতে দাখিলা বই পেলেই খাজনা নেয়া হবে এবং সাইন বোর্ড না থাকার ব্যাপারে তিনি জানান, সাইন বোর্ড চুরি হয়ে গেছে। সময় পেলে আর একটি বানানো হবে বলে জানান।

শনিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১১

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে অভিযোগ

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের চেয়ারম্যানের নিকট অভিযোগ প্রেরন করা হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার কাটগীর গ্রামের মৃত ওমর আলীর পুত্র মোঃ শমসের আলী দালালদের টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন সময়ে মুক্তিযোদ্ধা সেজে ভুরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়নের খামার পত্র নবীশ গ্রামের মৃত আমির আলীর পুত্র মোঃ শমসের আলীর ভারতীয় নম্বর ব্যবহার করে মুক্তিবার্তা ও বাংলাদেশ গেজেটে নাম অন্তর্ভুক্ত করে মুক্তিযোদ্ধার বিভিন্ন সরকারী সুযোগ ও মুক্তিযোদ্ধা সরকারী সুযোগ ভোগ করে যার নং ম-১৪২১১৭ তাং ২/১২/২০০৯ মুক্তিবার্তা নং ০৩১৬০৪০৩৫২ বাংলাদেশ গেজেট নং ১৩৪৯ তাং ২১/২/২০০৫ ।
বর্তমান সরকারের আমলে সঠিক মুক্তিযোদ্ধা বাছাই কার্যক্রম চালু হওয়ায় ভারতের একই নম্বর দু ব্যক্তির ব্যবহার করার বিষয়টি স্থানীয় উপজেলা কমান্ডের নিকট ধরা পড়লে তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখে ভুয়া প্রমান হওয়ায় প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা শমসের আলীকে অবহিত করলে উক্ত শমসের আলী নিজে বাদী হয়ে গত ৯/৯/২০১১ ইং তারিখে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সীল ঢাকা, ভুরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভুরুঙ্গামারী উপজেলা মুক্তি যোদ্ধা কমান্ডারের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
একটি বিশ্বস্থ সুত্রে জানা গেছে একটি দালাল চক্র টাকার বিনিময়ে অনেক ব্যক্তিকেই মুক্তিযোদ্ধার সনদ প্রদান করছে এবং সেই সনদে অনেকে দেশের গুরুত্বপুর্ন পদে চাকুরী করে আসছে।

বুধবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১১

সৌহার্দ্য -২ কর্মসুচির উদ্যোগে মতবিনিময় সভা

সৌহার্দ্য -২ কর্মসুচির উদ্যোগে বিভিন্ন সংস্থার সাথে নেট ওয়ার্কিং ও লিংকেজ বৃদ্ধির লক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার বিডিএসসি মিলনায়তনে কেয়ার বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়নকারী সংস্থা বিডিএসসি এ সভার আয়োজন করে। সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সভাপতিত্বে প্রধান ও বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন যথাক্রমে উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হাই মাষ্টার , ভাইস চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন মন্ডল ,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফরিদা পারভিন।
ভুরুঙ্গামারীতে সৌহার্দ্য-২ কর্মসুচির উদ্যোগে বিডিএসসির বাস্তবায়নাধীন গৃহিত প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সর্ম্পকে বক্তব্য রাখেন বিডিএসসির পিএম নজরুল ইসলাম, কেয়ার বাংলাদেশের প্রজেক্ট অফিসার সাদিকুল হাসান, টেকনিক্যাল অফিসার (ক্ষমতায়ন) সৈয়দা ফরিদা ইয়াসমিন প্রমুখ। সভায় বিভিন্ন এনজিও এবং বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১১

রমা হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত এবং হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন

যুবদল নেতা রমা হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত এবং হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবীতে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার সকালে কুড়িগ্রাম প্রেসকাবে অনুষ্ঠিত শোকাহত আত্মীয়-স্বজনের পে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন- রমা’র পিতা মোঃ আবু ইব্রাহীম।
তিনি জানান, গত ১৭ আগষ্ট ভুরুঙ্গামারী ইউনিয়নের নলেয়া গ্রামের কুড়া বা জলাশয় থেকে ইমতিয়াজ জাহিদ রমার লাশ পুলিশ উদ্ধার করে। অথচ গত ১৪ আগষ্ট থেকে রমা নিরুদ্দেশ ছিল। রমার পিতার দাবি, রমাকে পূর্বেই মেরে লাশ পরে জলাশয়ের পানিতে ফেলে রাখা হয়েছিল। তা না হলে মৃত মানুষের লাশ ভাসতে ৪৮ ঘন্টা সময় লাগার কথা নয়।
তারা অভিযোগ করেন, রমা হত্যা মামলাটি প্রভাবশালী মহল ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য নানা রকম অপকৌশল, মিথ্যাচার করছে একই সঙ্গে তদন্ত রির্পোট প্রকাশেও গরিমশি করা হচ্ছে এবং দীর্ঘ সময় নেয়া হচ্ছে। প্রভাবশালী মহল এবং বিবাদী প পুলিশকে নিয়ন্ত্রণ সহ তদন্ত রির্পোট সঠিক সময়ে না দেয়ায় সাংবাদিক সম্মেলন সহ সত্য ঘটনাকে আড়াল করার জন্য অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো অভিযোগ করেন, কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতাল থেকে ময়না তদন্তের রির্পোট ৪৮ থেকে  ৭২ ঘন্টার মধ্যে দেওয়ার বিধান থাকলেও এক মাসেও তা দেয়া হচ্ছে না।
সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি রমা হত্যা ঘটনার সুষ্টু তদন্ত, ন্যায় বিচার এবং হত্যাকারীদের গ্রেফতার দাবী করেন। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, নিহত রমার বড়ভাই সামা, শাহিন সিকদার ও নিকট আত্মীয়-স্বজনরা।